পৃষ্ঠাসমূহ

শনিবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০১২

কারে দেখাবো মনের দুঃখ গো


কারে দেখাবো মনের দুঃখ গো
আমি বুক চিড়িয়া ।
অন্তরে তুষেরই অনল
জ্বলে গইয়া গইয়া ।।

ঘর বাঁধলাম প্রাণবন্ধের সনে
কত কথা ছিল মনে গো ।
ভাঙ্গিল আদরের জোড়া
কোন জন বাদী হইয়া ।।

কার ফলন্ত গাছ উখারিলাম
কারে পুত্রশোকে গালি দিলাম গো ।
না জানি কোন অভিশাপে
এমন গেল হইয়া ।।

কথা ছিল সঙ্গে নিব
সঙ্গে আমায় নাহি নিল গো ।
রাধারমণ ভবে রইল
জিতে মরা হইয়া ।।


নিশিতে যাইও ফুলবনে



নিশিতে যাইও ফুলবনে
- রে ভোমরা।
নিশিতে যাইও ফুলবনে।
জ্বালায়ে চান্দের বাতি
আমি জেগে রব সারা-রাতি গো;
কব কথা শিশিরের সনে
- রে ভোমরা।
নিশিতে যাইও ফুলবনে।

যদিবা ঘুমায়ে পড়ি-
স্বপনের পথ ধরি গো,
যেও তুমি নীরব চরণে
- রে ভোমরা।
(আমার ডাল যেন ভাঙে না,
আমার ফুল যেন ভাঙে না,
ফুলের ঘুম যেন ভাঙে না)।
যেও তুমি নীরব চরণে
- রে ভোমরা।
নিশিতে যাইও ফুলবনে।





নির্জন যমুনার কূলে


নির্জন যমুনার কূলে
বসিয়া কদম্ব তলে
বাঁজায় বাঁশী বন্ধু শ্যামরায় ।।

বাঁশীতে কি মধু ভরা আমারে করিল সারা
আমি নারী ঘরে থাকা দায়
কালার বাঁশী হলো বাম বলে শুধু রাধা নাম।।
কুলবঁধুর কুলমান মজায়
বাঁশীর সুরে অঙ্গ জ্বলে ঘরের জল বাহিরে ফেলে
মনে লয় যামু যমুনায়

শোন গো ললিতে সখী বন্ধু ছাড়া কেমনে থাকি
প্রাণপাখী উড়ে যেতে চায় ।।
আমি নারী কুলবালা কালার বাঁশী দিল জ্বালা।।
অঙ্গ কালা বন্ধুর চিন্তায়
যদি আমার কেউ থাকো বন্ধু এনে প্রাণটি রাখো
মন প্রাণ সব সঁপিব তার পা’য়

ভুবনমোহন সুরে ভাইটাল নদী উজান ধরে
জ্বলে অনল আমার অন্তরায়
মনের লয় সন্ন্যাসী হইয়া দেখবো তারে তল্লাসিয়া
কোন বনে সে বাঁশরী বাজায়
নইলে কলসী বেন্ধে গলে ঝাঁপ দেবো যমুনায় জলে
প্রাণ ত্যাজিব বলে দূরবীন শাহ


Add