পৃষ্ঠাসমূহ

রবিবার, ১১ মার্চ, ২০১২

মন আমার দেহ ঘড়ি


একটি চাবি মাইরা দিলা ছাইড়া
জনম ভইরা চলিতেছে
মন আমার দেহ ঘড়ি সন্ধান করি 
কোন মিস্তরী বানাইয়াছে

থাকের(মাটির) একখান কেস বানাইয়া মেশিন দিল তার ভিতর
ওরে রং বেরং এর বার্নিশ করা দেখতে ঘড়ি কি সোন্দর
ঘড়ির তিন পাটে তে গড়ন সারা
এই বয়লারের মেশিনের গড়া
তিনশো ষাটটি স্ক্রুপ মারা, ষোলজন পাহারা আছে 

ঘড়ি হাইস্পিডিং ফ্যাপসা পেচিং লিভার হইলো কলিজায়
ছয়টি বলে আজব কলে দিবানিশি প্রেম খেলায়
ঘড়ির তিন কাঁটা বারো জুয়েলে, মিনিট কাঁটা হইল দিলে
ঘন্টার কাটা হয় আক্কেলে, মনটারে সেকেন্টে দিসে

ঘড়ির কেসটা ৩২ চাকের, কলে কব্জা বেসুমার
দুইশ ছয়টা হাড়ের জোড়া বাহাত্তর হাজার তার
ও মন, দেহঘড়ি চৌদ্দতলা, তার ভিতরে দশটি নালা,
একটা বন্ধ নয়টা খোলা গোপনে এক তালা আছে। 

দেখতে যদি হয় বাসনা চলে যাও ঘড়ির কাছে
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে ঘড়ির ভেতর লুকাইছে 
পদর্ারও সত্তুর হাজারে
তার ভিতলে লড়ে চড়ে
জ্ঞান নয়ন ফুটলে পরে দেখতে পারবেন চোখের কাছে;
ওস্তাদ আলাউদ্দিনে ভেবে বলছেন,
ওরে আমার মনবোকা;
বাউল রহমান মিয়ার কর্মদোষে হইল না ঘড়ির দেখা

আমি যদি ঘড়ি চিনতে পারতাম,
ঘড়ির জুয়েল বদলাইতাম,
ঘড়ির জুয়েল বদলাইবো
কেমন যাই মিস্ত্ররীর কাছে?

মন আমার দেহঘড়ি
সন্ধান করি, কোন মিস্ত্রী বানাইছে


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Add